isshti



মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আমি গতবারের মত এবারও ব্যর্থ। পরীক্ষা ভালই দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে কি আর হয়। তবে মনটাকে অনেকক্ষণ ধরে বোঝালাম। আব্বু আম্মুও মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। এজন্য আমার খুবই খারাপ লাগছে। আমি এবার আমার পক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিলাম। গত তিন মাস যে পরিশ্রমটা করলাম, তার কোন ফল পেলাম না। কতগুলো রাত না ঘুমিয়ে কেমিস্ট্রির বিক্রিয়া, চার্ট, বিভিন্ন পদার্থের ব্যাবহার গুলো মুখস্ত করেছিলাম। বোটানির পার্থক্য আর বৈশিষ্ট্যগুলো মনে রাখার জন্য যে কতবার করে ওগুলো পড়েছি তার হিসাব নাই। জুওলজি আর ফিজিক্স ও তো কম পড়লাম না। জুওলজি গতবার ভাল পড়া ছিল; তবুও এবার আরও অনেক বেশি জুওলজি পড়েছি। কোচিং এ নিয়মিত পরীক্ষা দিলাম। এবার পরীক্ষাগুলোতে নাম্বারও ভাল পেয়েছিলাম। গত তিন মাস কোচিং আর প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যায়নি। এইচ.এস.সি পরীক্ষার আগেও মনে হয় এত পড়া পড়িনি। তবুও সবকিছুর পরে যে সুযোগ পাওয়াটা মুখ্য; সেটাই হল না আমার। না আমি হতাশ হয়নি। তবে অনেক কষ্ট পেয়েছি। এই কষ্টটা সাময়িক। মানুষ সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়। আমিও হয়তো মানিয়ে নেব। জীবনটা তো আর শেষ হয়ে যায়নি। এখনও জীবনের অনেকটা সময় বাকি আছে; যদি আল্লাহ চায় আর কি। সবকিছুই তো নির্ভর করে আল্লাহর উপর। তবে আমি এই বিশ্বাসটা রাখি যে, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। হয়তোবা আমরা সেই ভালো সাথে সাথে বুঝতে পারি না। আমি মনে করি যে আল্লাহ এর মধ্যে নিশ্চয়ই আমার জন্য, আমাদের পরিবারের জন্য ভালো কিছু রেখেছেন। আব্বু আমাকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করাবে বলে ঠিক করেছে। যেহেতু ডাক্তারি ছাড়া আর কিছু আমি পড়ব না, তাই ভর্তি হয়ে যাব। জীবনে মানুষ কিছু সিদ্ধান্ত ভুল নেয়। আমারও তেমনি IELTS কোচিং  করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। কি জানি যদি হয়তো পুরটা সময় জুড়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলেই বরং ভালো করতাম। এখন এসব ভেবে আফসোস করার কোনো মানে হয় না। এতে শুধু কষ্টই বাড়বে।
isshti

সপ্তাহখানেক হয়ে গেল কোপা ডেল রে-এর ফাইনালের। টিভির সামনে বসে ছিলাম রাত সাড়ে বারটা পর্যন্ত; সুপার স্পোর্টস আসবে সেই আশায়। কিন্তু যখন দেখলাম সুপার স্পোর্টস আসার আর কোন সম্ভবনা নেই তখন এসে পিসি অন করলাম। Google এর বদৌলতে পেয়ে গেলাম লাইভ ফুটবল খেলা দেখার ওয়েব সাইট। কিন্তু আমার যা নেট স্পীড (২৫৬ kbps) তাতে খেলা দেখা একটু কঠিনই। তবুও অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটা মোটামুটি খেলা দেখা যাবে এমন ওয়েব সাইট খুঁজে পেলাম। কিন্তু ভিডিও কোয়ালিটি তেমন ভাল না আর কিছুক্ষণ পরপর বাফারিং এর জ্বালায় কিছুটা বিরক্ত হলেও বার্সা-রিয়াল এর আরেকটি এল ক্লাসিকো দেখতে পাওয়ার আনন্দে এই সামান্য জ্বালা সহ্য করলাম। কিন্তু মাঠে সেদিন বড়ই অপরিচিত লাগছিল বার্সেলোনাকে। রিয়ালের স্পেশাল ওয়ান মরিনহো যে বার্সার আসল অস্ত্র পাসিং ফুটবল এবং বল নিজেদের দখলে রাখার ক্ষমতাকে প্রায় নিস্ক্রিয় করে ফেলেছিল পুয়োল বিহীন বার্সার রক্ষণভাগ যেন বেশ অরক্ষিত। অন্যদিকে রিয়ালের ডিফেন্সের কাছে বার্সার আক্রমণভাগকে অসহায় মনে হচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। খেলার ১০৩ মিনিটে গোলমুখে ডি মারিয়ার ক্রস হেড করে বার্সার জালে ঢুকিয়ে খেলার একমাত্র গোলটি করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। খেলার বাকি সময় আর বার্সা তেমন সুবিধা করতে পারে নাই। তাই রিয়াল মাদ্রিদ ১৮ বছর পরে স্বাদ পেলো কোপা ডেল রে ট্রফির। তবে বার্সাও জিতেছে তাদের সমর্থকদের জন্য। সমর্থকেরা শান্ত থেকেছিল, কোন রকম বিশৃঙ্খলা করেনি। বার্সার খেলোয়াড়রাও করেনি তেমন কোন উদ্ধতপূর্ণ আচরণ যা গত ২৯ নভেম্বর রিয়ালের খেলোয়াড়েরা করেছিল।
এবার আসি UEFA Champions League এর বার্সা-রিয়াল মুখোমুখি হওয়ার বিষয় নিয়ে। এর রেকর্ডে অবশ্য বার্সাকে অনেক পিছনে ফেলেছে রিয়াল। UEFA Champions League এ এর আগে ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে বার্সা-রিয়াল। যার মধ্যে একটিমাত্র জয় পেয়েছে বার্সা সেটাও কিনা ১৯৬০-৬১ মৌসুমে। রিয়াল জিতেছে তিনটিতে আর বাকি দুটো ড্র। সর্বশেষ ২০০১-০২ মৌসুমের সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেবার প্রথম লেগে নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ২-০ গোলের হারের পর দ্বিতীয় লেগে বার্নাবুতে ১-১ গোলের ড্রয়ে বার্সার আর UEFA Champions League এর ফাইনাল খেলা হয় নি। আর সেই ২০০১-০২ মৌসুমে UEFA Champions League এর ট্রফি নিজেদের ঘরে তোলে রিয়াল মাদ্রিদ। একটা মজার ঘটনা হল সেবারও অন্য সেমিতে উঠেছিল ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন। এবার অবশ্য বায়ার লেভারকুসেন নয় জার্মানির আরেকটি ক্লাব শালকে উঠেছে সেমি ফাইনালে। গতকাল রাতের খেলায় ২০০১-০২ মৌসুমে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-০ গোলের ব্যবধানে শালকেকে ওদের মাঠে হারিয়ে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল। আশা করি বার্সেলোনাও রিয়াল মাদ্রিদকে তাদের মাটিতে হারিয়ে “কোপা ডেল রে”-এর ফাইনালের হারের প্রতিশোধ নেবে আর এক ধাপ এগিয়ে যাবে UEFA Champions League এর শিরোপা নিজেদের করে নেয়ার পথে।
isshti

আবার ফিরে এলো এল ক্লাসিকো। গত এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনা ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল মাদ্রিদকে। গত বছরের ২৯ নভেম্বর সেই খেলা দেখেছিলাম ঢাকায় মামার বাসায়। সেই খেলার আগে রিয়াল মাদ্রিদ এই ২০১০-১১ সেশনে অপরাজিত ছিল। তার উপর রোনালদোর ফর্ম এবং হোসে মরিনহো এর কোচিং রিয়াল মাদ্রিদকে করেছিল অপ্রতিরদ্ধ। কিন্তু বার্সেলোনার অসাধারণ পাসিং ফুটবল আর রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের মেজাজ হারানোর জন্য সেই ম্যাচে আসে বার্সেলোনার ৫-০ গোলের ব্যবধানের বিশাল জয়। এই ম্যাচের স্কোর লাইন কিন্তু এই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মধ্যকার প্রকৃত ব্যবধান প্রকাশে ব্যর্থ।
আগামী ১৮ দিনে বার্সা - রিয়াল চারবার মুখমুখি হবে। আজ (১৬/০৪/২০১১) লা লিগায় খেলা। ২০ তারিখ স্প্যানিশ কিংস কাপের ফাইনাল। আর ২৭ এপ্রিল ও ৩ মে UEFA চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে মুখমুখি হবে শৈল্পিক ফুটবল খেলা বার্সেলোনা আর অনেকটা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর মত পাওয়ার ফুটবল খেলা রিয়াল মাদ্রিদ।
অনেক আশা প্রত্যাশা নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসলাম একটু আগেই। একটু আগে না অনেক আগেই বলা চলে। কারন টেন অ্যাকশনে গত এল ক্লাসিকোর হাইলাইটস দেখাচ্ছিল। তাই দেখলাম। ফুটবল খেলায় এমন হাইলাইটস আগে কখনো দেখছি বলে মনে হয় না। খেলার সাথে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। ভালই লাগল। তো ঠিক বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় খেলা শুরু হল। বার্সেলোনা শুরু করল তাদের শিল্পের প্রদর্শনী। শুরু থেকেই চমৎকার পাসিং ফুটবল। কিন্তু গোলের খেলা ফুটবলে কিন্তু গোলটাই মুখ্য। বার্সেলোনা চমৎকার ফুটবল খেললেও গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলে বার্সেলোনার থেকে পিছিয়ে থাকলেও বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেল। কিন্তু কখনোবা ভাগ্য সাথে ছিল না, আবার কখনো বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায় নি রিয়াল মাদ্রিদ। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি কিন্তু কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল যা ইকার ক্যাসিয়াসের দুর্দান্ত গোলকিপিং এর জন্য গোল হয় নি। ডেভিড ভিয়াকে  ডিবক্সের মধ্যে ইকার ক্যাসিয়াস ফাউল করলেও রেফারি পেনাল্টি দেয় নি।  গোলশূন্য  প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও দু দলের প্রায় একই রকম খেলা। ৫৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা এবং  সুযোগ পেয়ে এই প্রথম "স্পেশাল ওয়ান" হোসে মরিনহোর দলের বিপক্ষে প্রথম গোল করে মেসি। বেশ নিশ্চিন্ত হয়েই খেলা দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল যে পেপ গারদিওলার দল এল ক্লাসিকোতে টানা ষষ্ট জয় পেতে যাচ্ছে। কিন্তু ৮২ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ পেনাল্টি পায় এবং রোনালদো গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। যে ধ্রুপদী লড়াইয়ের আশায় রাত জেগে খেলা দেখলাম তা আর পূরণ হল না। পুরো খেলায় দুই দলের ফনিশিং এর অভাব এবং রিয়ালের গায়ের জোরে খেলার প্রবণতার জন্যই মনে হয় এই এল ক্লাসিকোটা তেমন জমল না। তবে আমি আশাবাদী আগামী বুধবার রাতে পরবর্তী খেলায় দলই তাদের সেরা খেলাটা খেলে সারা বিশ্বের ফুটবল ভক্তদের আশা পূরণ করবে।
isshti



হয়তোবা শিশির ভেজা শীতের কোনো সকাল বেলা,
হয়তোবা জোৎনাস্নাত কোনো রাতে,
কিংবা হতে পারে নীল সাগরের ফেনীল ঢেউ আছড়ে পড়া তীরে,
চৈত্র শেষের আচমকা দমকা ঝড়ে,
বৈশাখের কালবৈশাখী ঝড়ের মাঝে,
হয়তোবা বর্ষার কোনো বিকেলের টিপ টিপ বৃষ্টিতে,
পরীক্ষার হলে চিন্তিত নয়নে,
কোনো এক বিশাল শপিং মলে,
অথবা কোনো শহরের হাজার জনতার মাঝে,
কিংবা একাকী ক্লান্ত বিকেলে তেজ্বহীন রোদে হাঁটার সময়,
হতে পারে বিদেশের কোনো রঙিন শহরের উজ্জ্বল আলোতে,
তোমার সাথে হবে আমার দেখা।
সেই অজানা আমার প্রিয় মুখের অপেক্ষায়........
isshti




এর আগে আমি কখনো সিনেমার রিভিউ লিখিনি। আজ একটা লেখার চেষ্টা চালাবো। অপচেষ্টাও বলতে পারেন। আমি সাধারণত কোন বাছ বিচার করে সিনেমা দেখিনা। ভাল মন্দ প্রায় সব রকমের সিনেমাই দেখি। তো এ পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে ভাললাগা সিনেমার নাম হল “The Silence of The Lambs”। ১৯৯১ সালের সিনেমা। তবে এই সিনেমা আমি সর্বপ্রথম দেখি ২০০৫ সালে। প্রথম যেবার সিনেমাটা দেখি তখন তেমন কিছু বুঝি নাই। কারন ইংরেজি সিনেমাও তখন কম দেখা হত এবং ইংরেজি ভাষাও তখন খুব ভাল ভাবে বুঝতাম না। তো সিনেমাটা আমার মনে তখন তেমন কোন প্রভাব ফেলে নাই। এসএসসি পরীক্ষার পর সিনেমাটা আবার দেখলাম। ততদিনে আমার ইংরেজি জ্ঞানও কিছুটা বেড়েছিলও। আর বেশ ইংরেজি সিনেমা দেখাও শুরু করেছিলাম। তাই এইবার সিনেমাটা অসাধারন লাগলো। এইবার দেখার পরই বুঝতে পারলাম পুরো সিনেমাটা।
সিনেমাটি টমাস হ্যারিসের সাইকলজিক্যাল উপন্যাসের চলচ্চিত্র রূপ। অস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগে ("Oscars" for Best Movie, Director, Actor, Actress, and Screenplay) মনোনয়ন পেয়ে পাঁচটিতেই পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিনেমাটি করার সময় পরিচালক, অভিনেতা – অভিনেত্রী এবং অন্যান্য যারা এই সিনেমার সাথে জড়িত সবাই মনে হয় তাদের জীবনের সেরাটাই দিয়েছিলেন।
সিনেমার কাহিনীর মূল চরিত্র গুলো হল – FBI তে প্রশিক্ষণরত এক তরুণী যার নাম ক্লাইরিস স্টারলিং (Jodie Foster) । আরও আছে নরখাদক মানসিক রোগের চিকিৎসক “Hannibal cannibal” খ্যাত ঠাণ্ডা মাথার খুনি হ্যানিনবল লেকটার (Anthony Hopkins) । আরও একটি প্রধান চরিত্র আছে যার নাম না বললে কিছুই বলা হবে না – সে হল সিরিয়াল কিলার বাফেলো বিল।
Jodie Foster আসলেই সিনেমাটাকে তার অসাধারণ অভিনয় দিয়ে অনেক বাস্তব করে তুলেছে। তার অভিনীত চরিত্রটির নাম ক্লাইরিস স্টারলিং। FBI তে প্রশিক্ষণরত সুন্দরী এই তরুণীকে সিরিয়াল কিলার বাফেলো বিলকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক সিরিয়াল কিলার সাইক্যাট্রিস্ট হ্যানিনবল লেকটারকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে। একজন নবীন FBI কর্মকতার চোখে মুখে যে কিছুটা ভয় আর আত্ববিশ্বাসের মিশেল থাকা দরকার তার সবটুকুই আমরা দেখতে পাব Jodie Foster এর অভিনয়ের মাধ্যমে। ক্লাইরিস স্টারলিং আর হ্যানিনবল লেকটারের মধ্যকার কথোপকথনগুলো ছিল এক কথায় অসাধারণ। নিজের জীবনের তিক্ত আর ভয়াবহ ঘটনা লেকটারকে বলার মাধ্যমে স্টারলিং লেকটারের কাছ থেকে বাফেলো বিলের মানসিকতা সম্পর্কে জানতে পারে। স্টারলিং এর অতীত জীবনের দুঃখজনক এক ঘটনার সাথে জড়িত আছে মেষশাবক বা বাচ্চা ভেড়ার প্রসঙ্গ। এর কারনেই সিনেমাটি নাম হয়েছে The Silence of The Lambs।
মানুষখেকো সাইক্যাট্রিস্ট হ্যানিনবল লেকটারের চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য যা যা করার প্রয়োজন Anthony Hopkins তার সবই করেছেন। একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনির মত কুটিল হাসি, আদিরসাত্নক কথাবার্তা; আবার একজন বুদ্ধিদীপ্ত সাইক্যাট্রিস্টের মত বিচক্ষণ কথাবার্তা, সূক্ষ্ন পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা – সবই অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তবে সিনেমায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল ক্লাইরিস স্টারলিং এর সঙ্গে হ্যানিনবল লেকটারের কথোপকথন। তাদের মধ্যকার কথোপকথনগুলো দর্শককে মন্রমুগ্ধ করার যথেষ্ট।
বাফেলো বিল এর আসল নাম জেম গাম্ব। Ted Levine এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাফেলো বিল হল এক সাইকপ্যাথ সিরিয়াল কিলার যে তরুণীদের খুন করে তাদের চামড়া কেটে নেয় নিজের জন্য এক বিশেষ পোশাক তৈরি করার জন্য। তার প্রথম শিকার ফেদ্দ্রেরিকা বিমেল হলেও FBI প্রথম তার কেসটা গুরুত্বের সাথে নেয় যখন সে সিনেটর রুথ মারটিনের মেয়ে ক্যাথরিন মারটিনকে অপহরণ করে।
সিনেমাটা উপন্যাসের চলচ্চিত্র রূপ হলেও পরিচালক জনাথান ড্যাম সিনেমার ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য পরিচালনা করেছেন মুনশিয়ানার সাথে। আমি এই ক্লাইম্যাক্সের কথা আগেই বলে সব উত্তেজনা নষ্ট করে দিতে চাই না। তবে প্রথম যেবার সিনেমাটা দেখি তেমন না বুঝলেও এই ক্লাইম্যাক্স দেখে চমকে উঠেছিলাম। আর কিঞ্চিত ভয়ও পেয়েছিলাম। যখন সব সত্য ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় দর্শককে অবশ্যই রোমাঞ্চিত হতে হবে।
আমার মনে হয় অনেকই এই অসাধারণ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সিনেমাটি দেখেছেন। তাদেরও মনে হয় আমার মত ভাল লেগেছে। আর যারা দেখেননি, তাদের বলব অনেক বড় মিস করেছেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন সিনেমাটি দেখে ফেলুন। আমি নিশ্চিত আপনাদের ভাল লাগবে।
isshti


I am alone, in spite of love,
     In spite of all I take and give --
In spite of all your tenderness,
     Sometimes I am not glad to live.

I am alone, as though I stood
     On the highest peak of the tired gray world,
About me only swirling snow,
     Above me, endless space unfurled;

With earth hidden and heaven hidden,
     And only my own spirit's pride
To keep me from the peace of those
     Who are not lonely, having died.